নিজস্ব প্রতিনিধি –
অভাগী একজন নিম্নবর্ণের, দরিদ্র গ্রাম্য মহিলা যা তার স্বামীর রেখে যাওয়া। সে তার ছেলে কাঙ্গালীকে নিয়ে তার ছোট্ট মাটির কুঁড়েঘরে থাকে, তবুও তারা সুখী। শৈশবে অভাগী একবার যমরাজকে একটি নাটকে দেখেছিলেন এবং তার আভা এবং শক্তির প্রেমে পড়েছিলেন। সে তার কথায় প্রভাবিত হয়েছিল। যমরাজ আগুনে শ্মশানের পর তার রথে শুধুমাত্র উত্তম চরিত্রের মহিলাদের সাথে নিয়ে যান। তারপর থেকে অভাগী সবসময় মৃত্যুর পরে তার ছেলের কাছ থেকে আগুনের স্বপ্ন দেখে। ব্রাহ্মণ গিন্নিমা মারা গেলে তিনি স্বর্গ থেকে ধোঁয়ায় একটি রথ আসতে দেখেন যাতে গিন্নিমা পোড়ানো হয়েছিল। এটা তাকে স্বর্গে নিয়ে গেছে। অভাগী আবার গিন্নিমার মতো তার মৃত্যুর স্বপ্ন দেখল। সেদিন তার খুব জ্বর আসে। তিন দিন পর সে মারা যায়। মৃত্যুর আগে তিনি তার ছেলেকে তার সিন্দুর, আলতা এবং কাঠে
পোড়ানোর ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। কাঙালী সব ইচ্ছা পূরণ করল। কিন্তু সে কাঠ পোড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেনি। সবাই এই বলে তিরস্কার করে যে, মাকে কাঠে পোড়ানোর দরকার নেই কারণ তারা নিম্নবিত্ত। তাকে তার মায়ের লাশ দাফন করতে হয়েছে। আগুন, অভাগী সারাজীবন চেয়েছে, এখন কাঙালীর চোখে।
অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন
“ও অভাগী অংশীদার শরৎচন্দ্র চম্পাধ্যায়ের ছোট গল্প অভাগীর স্বর্গের প্রশাসক। এই গল্পের ওয়ান লাইনটি হল সমাজের সাথে এক মহিলার সতীত্বের সাথে এক অসম লড়াই। এই গল্পে অদ্ভুত এক রুক্ষতা খুঁজে পাওয়া যায় ভাগকের জীবনকে। আশা করি ট্রেলারে কিছুরই একটা ঝলক দেখতে পাবেন।
রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা বলেন
“এই সমাজে নারীদের উপর, আর নারী যদি দলভুক্ত হয়, তাহলে তাদের শোষণ হয়, ‘ও অভাগী’ চেষ্টা তার প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, সুব্রত দত্ত, দেবযানী চ্যাটার্জি, ইশান মজুমদার, সায়ান ঘোষ, জিনিয়া পান্ডে, কৃষ্ণা ব্যানার্জি এবং সৌরভ হালদার।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- অনির্বাণ চক্রবর্তী
DOP- মলয় মন্ডল
সম্পাদক- সুজয় দত্ত রায়
সঙ্গীত পরিচালক- মৌসুমী চ্যাটার্জি
গায়ক- লগ্নজিতা চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, চন্দ্রাণী ব্যানার্জী, অনিমেষ রায়, এবং অনির্বাণ রায় আকাশ। ছবিটি মুক্তি পাবে মার্চ মাসের ২৯ তারিখে।