নিজস্ব প্রতিনিধি –
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়,চিকিৎসক হিসেবেও তিনি ছিলেন প্রবাদপ্রতিম। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করেই আজ পয়লা জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালিত হচ্ছে রাজ্য জুড়ে।
ইন্সটিটিউট অফ হাইড রিসার্চ এন্ড এডুকেশানের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দস এন্সেস্ট্রাল হাউস এন্ড কালচারাল সেন্টারে পালিত হল জাতীয় চিকিৎসক দিবস। শনিবার এই দিনটি উদযাপন অনুষ্ঠানের সুচনা করেন সেন্টারের সেক্রেটারি স্বামী জ্ঞানালোকানন্দ। উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউট অফ হাইড রিসার্চ এন্ড এডুকেশানের সভাপতি বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডক্টর অশোক কুমার প্রধান ও সেক্রেটারি ডক্টর অমলেন্দু প্রধান,কনভেনার ডক্টর সাইদুল ইসলাম সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তি স্বামী জ্ঞানালোকানন্দ
বলেন,স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ওঠো জাগো, যতদিন না লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছ থেমে যেও না।আমাদেরও স্বামীজীর সেই আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ডক্টর অশোক প্রধান বলেন, এই চিকিৎসক দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে আমরা যেন হোমিওপ্যাথির সঠিক নিয়ম মেনে চিকিৎসা করি। তিনি বলেন, স্যামুয়েল হ্যানিম্যান যে সিঙ্গল মেডিসিন দ্বারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কথা বলে গিয়েছিলেন আজ তা অনেকেই মানছেন না। অর্গানন অফ মেডিসিন ও মেটিরিয়া মেডিকায় লেখা আছে যে ওষুধকে প্রুভিং করে ওষুধ দিতে হবে। কিন্তু এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই অনেক সময় চার পাঁচটা মাদার টিংচার একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৪ থেকে ৬ টা ওষুধকে একত্রে মিশিয়ে বা পর্যায়ক্রমে খাওয়ানো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন প্রত্যেকটা ওষুধকে প্রুভিং করে লক্ষন সদৃশ মতে প্রয়োগ করাটাই প্রকৃত হোমিওপ্যাথির উদ্দেশ্যে।