নিজস্ব প্রতিনিধি –
ভারতীয় ডেফ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা (IDCA) দেশ জুড়ে সক্ষম খেলোয়াড়দের প্রতিভাকে তুলে ধরতে ডেফ ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগের আয়োজন করা হয়েছিল। তাদের এই চতুর্থ টি-২০ ডেফ আইপিএল ২০২৩ -এ মোট ৮টি রাজ্য একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ২৪ শে এপ্রিল থেকে ২৭ শে এপ্রিল পর্যন্ত এই লিগ চলেছে। ২৭ এপ্রিল এই লিগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠীত হয় মার্লিন গ্রুপের ক্লাব প্যাভিলিয়ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ( মার্লিন রাইজ- দ্য স্পোর্টস সিটি, রাজারহাট)। ডেফ চেন্নাই ব্লাস্টারস বনাম ডেফ ব্যাংগালোর বাদশাহের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ আনুষ্ঠীত হয়। জয়ী হয় চেন্নাই ব্লাস্টারস। এই লিগের ফাইনালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রী দেবাং গান্ধী, ইমামি গ্রুপের শ্রী সন্দীপ আগারওয়াল এবং মার্লিন গ্রুপ এর ডিরেক্টর শ্রী সত্যেন সাংভি।
প্রথম সেমিফাইনাল হয়, ডেফ দিল্লী বুলস এবং ডেফ ব্যাংগালোর বাদশাহ এর মধ্যে। জয়ী হয়, ডেফ ব্যাংগালোর বাদশাহ। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হয়, ডেফ রাজস্থান রয়্যাল এবং ডেফ চেন্নাই ব্লাস্টারস এর মধ্যে। জয়ী হয়, ডেফ চেন্নাই ব্লাস্টারস।
মার্লিন গ্রপের তরফ থেকে ৫টি বিভাগে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় খেলোয়াড়দের হাতে। লিগের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এবং ফাইনাল ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন- সাই আকাশ (চেন্নাই), ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান – ভিকি ( ব্যাংগালোর), সুপার সিক্স বিভাগে পুরস্কার পান – মুন্না সরকার (চেন্নাই), সিরিজের সেরা ফিল্ডার বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন – রোশান কুমার (কলকাতা), সিরিজের সেরা উইকেটরক্ষক হিসাবে পুরস্কার পেয়েছেন – সাইনাথন রেড্ডি (রাজস্থান), দ্রুততম ফিফটি করে পুরস্কার পেয়েছেন- সুশীল যাদব (ব্যাংগালোর) এবং সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে পুরস্কার পেয়েছেন- সঞ্জু শর্মা( রাজস্থান)।
এই অনুষ্ঠানের এসে মার্লিন গ্রুপের ডিরেক্টর শ্রী সত্যেন সাংঘভি বলেন, “আমরা আইডিসিএ এর এই টি২০ ডেফ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। সারা ভারত থেকে উঠে আসা সেরা প্রতিভাদের একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সাক্ষী হয়েছি। আমি সমস্ত ক্রিকেটারদের ভবিষ্যত প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিকভাবে শুভকামনা জানাই। মার্লিন থেকে আমরা সুপার সিক্স, সিরিজের সেরা ফিল্ডার, সিরিজের সেরা উইকেটরক্ষক, দ্রুততম ফিফটি এবং সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার মতো বিভাগে সেরাদের সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত। আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের উদ্যোগের পাশে থাকব। আমরা আশা করি নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রাইনেশন ওয়ানডে সিরিজ আমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হবে। এই প্রতিভাগুলিকে পরবর্তী সময়ে সর্বস্তরে স্বীকৃত করা উচিত। ”