নিজস্ব প্রতিনিধি –
মূর্তির দিকে তাকালে কেউই এখানে মা’র পরিচিত রূপ দেখতে পাবেন না। এখানে মায়ের চতুর্ভুজ রূপও সেভাবে নজরে আসবে না, নেই মায়ের পরিচিত অস্ত্রসজ্জা। এখানে মাকে বাহুডোরে বেষ্ঠন করে আছেন সাক্ষাৎ মহেশ্বর। এক লহমায় মনে হবে এযেন শিব শিবানীর যুগলমিলন রূপ।
যদিও কারোর মতে বর্তমানে কোলকাতা কোনো নারীর পক্ষেই সুরক্ষিত স্থান নয় বলে যেন সাক্ষাৎ দেবাদিদেব মহাদেবও দেবীকে একা পুজো মণ্ডপে পাঠাতে ভীত হয়েই দেবীর অঙ্গরক্ষক রূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
কিন্তু কেন দেবীর এরকম রূপকল্পনা, এ বিষয় জানতে চাওয়া হলে এই পুজোর প্রাণপুরুষ সঞ্জীব পোদ্দার জানিয়েছেন, “এই বছর আমার নিজস্ব ভাবনা অনুযায়ী প্রতিমা বানিয়ে মাতৃ আরাধনার ব্যবস্থা করেছি। এখানে মায়ের প্রচলিত রূপ দেখা না গেলেও, লোকচক্ষুর অগোচরে মায়ের সকল অস্ত্রই বেদীতে রাখা আছে।”
শুক্লা নবমীর নবমী তিথিতে কুমারী পুজো সহ শাস্ত্রবিহিত আচার অনুসারে সাড়ম্বরে জগদ্ধাত্রী পুজো সমাপন করলেন ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন ‘মেট্রোপলিটন কো-
অপ. হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড’ আবাসনের জনৈক বাসিন্দা সঞ্জীব পোদ্দার ও তাঁর ঘরণী শিল্পী পোদ্দার।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে শিল্পী পোদ্দার বলেছেন, “১৫ বছর ধরে আমরা জগদ্ধাত্রী পুজো করে আসছি। এই বছর ৪ বছরের জনৈকা কুমারীকে ‘কালিকা’ নামে এবার পুজো করা হয়েছে।”
পোদ্দার পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে হাজির হয়েছিলেন কোলকাতার অন্যতম খ্যাতনামা আলোকচিত্রী অনুপম হালদার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ মন্ত্রকের অধীন রাজস্ব বিভাগের অন্যতম যুগ্ম আয়ুক্ত পাঞ্চালি মুন্সী।
নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানতে গিয়ে শ্রী হালদার জানিয়েছেন, “প্রত্যেক শিল্পীই যাতে তাঁর শিল্পকর্মের যথোপযুক্ত মর্যাদা পায় এটাই মায়ের কাছে আমার একমাত্র প্রার্থনা।”
অন্যদিকে পাঞ্চালি মুন্সী বলেছেন, “এখানকার মাতৃপ্রতিমা দর্শন করে আমি অভিভূত, মা যেন সবাইকে কৃপা করেন মার কাছে সেই কামনাই করলাম।”