পারিজাত মোল্লা –
“বাড়ি আমার ভাঙন ধরা অজয় নদের বাঁকে, জল যেখানে সোহাগ করে স্থল কে ঘিরে রাখে”। এই দুটি কবিতার লাইন বাঙালির আট থেকে আশি সকলেই জানেন।পূর্ব বর্ধমান জেলার কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বসতভিটে মধুকর প্রাঙ্গণে টানা ১৫ বছর ধরে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি পালন করে আসছে কুমুদ সাহিত্য মেলা। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।রবিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কবির আমবাগানে চলে সাহিত্য বিষয়ক মেলাটি।এবারের সাহিত্য মেলার উদ্বোধক ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি ছিলেন বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের
কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান শ্যামল ঘটক। অনুষ্ঠান সভাপতি ছিলেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার।বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু সিংহরায়, বৈদূর্য ঘোষাল। কাজি নজরুল ইসলাম এর বংশধর সোনালি কাজি, পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের বংশধর মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ, বর্ধমান জেলা আদালতের সিনিয়র এপিপি সঞ্জয় ঘোষ,আন্তজার্তিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক প্রকাশ মল্লিক, হুগলি জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এর অফিস মাস্টার সাহানা খাতুন, সাহিত্যিক শুভাশীষ মল্লিক, বাংলাদেশের যশোরের লেখক কাজী নূর, চিকিৎসক অভয় সামন্ত, বাচিক
শিল্পী দেবিকা মুখার্জি প্রমুখ। এবারে ১৭ জন কে রত্ন সম্মান দেওয়া হয় কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির তরফে। টলিউডের সঙ্গীত পরিচালক অশোক ভদ্র কে ‘লোচনদাস রত্ন’, সঙ্গীত শিল্পী কুমকুম সেনগুপ্ত কে ‘নজরুল ইসলাম রত্ন ‘, হাওড়া জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এর অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য কে ‘নুরুল হোদা রত্ন’, সাংবাদিক সংগঠক শম্ভু সেন কে ‘সমীরণ চৌধুরী রত্ন’, সাংবাদিক পার্থ চৌধুরী কে পুরুষোত্তম সামন্ত স্মৃতি পুরস্কার, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডক্টর শ্যামলেন্দু চ্যাটার্জি কে বর্ধমান জেলা রত্ন, কেন্দ্রীয় সরকারের পেটেন্ট পাওয়া বিজ্ঞানী চন্দ্র নারায়ণ বৈরাগ্য কে মেমারি রত্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ এর লেখক পংকজ পাল কে হাসান আজিজুল হক রত্ন, সাংবাদিক রফিকউদ্দিন মন্ডল কে দক্ষিণ দামোদর রত্ন, সমাজসেবী সফিকুল ইসলাম কে খন্ডঘোষ রত্ন, বর্ধমান সহযোদ্ধার কর্মকর্তা সোমনাথ ভট্টাচার্য কে কাটোয়া মহকুমা রত্ন,আইনজীবী মাসুদ করীম কে মঙ্গলকোট রত্ন, আঞ্চলিক গবেষক নির্ম্মলেন্দু পাল কে কালনা মহকুমা রত্ন, সমাজসেবী মুলচাঁদ আগরওয়ালা কে বীরভূম রত্ন, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কে সমীর ভট্টাচার্য রত্ন এবং পশুপ্রেমী সমাজসেবী আমির সেখ কে মমতা মণ্ডল স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়।কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে মোল্লা জসিমউদ্দিন, শ্যামলাল মকদমপুরী জানান -” এবছর আমরা কবির বাসভবনে কবির মূর্তি স্থাপন করলাম”এই মেলায় পল্লিকবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কবির লেখা কবিতার ওপরে পেইন্টিং করলেন কলকাতা থেকে পাঁচজন চিত্রশিল্পী। দীপঙ্কর সমাদ্দারের তত্ত্বাবধানে তিনি নিজে এবং সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল মুখার্জি, কৌশিক মজুমদার, বিশ্বনাথ দাস।।কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের বংশধর মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোল্লা জসিম উদ্দিনের উপস্থিতিতে পাঁচজন চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবিগুলি কবির গৃহে সংরক্ষণে রাখলেন।।