নিজস্ব প্রতিনিধি –
একাদশতম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক প্রদর্শনী “প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩”, বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম প্লাস্টিক প্রদর্শনী, দারুণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হল। পাঁচদিনের এই সম্মেলনে (১ থকে ৫ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ৩.৬০ লাখ দর্শক এসেছিলেন। এই প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩ প্রদর্শনী, যা প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির এক অন্যতম সফল প্রদর্শনীর মান্যতা পেয়েছে, সেখানে প্রায় ১৮০০ প্রদর্শক হাজির হয়েছিলেন নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের পদ্ধতিকরণ যন্ত্র,কাঁচামাল, পুনর্নবীকরণ প্রকৌশলএবং সাম্প্রতিকতম স্বয়ংক্রিয় টেকনোলজির পশরা নিয়ে। সেইসঙ্গে তাঁরা তাঁদের সম্ভাব্য গ্রাহকের দেখা পেয়ে এবং নতুন ব্যাবসার সম্ভাবনার হদিশ পেয়ে নিজ মনোবাঞ্ছা সফল করতে সমর্থ হলেন এখানেই। পাঁচদিনে বহু উচ্চমূল্যের ব্যাবসায়িক লেনদেন হল এইখানে।
প্রদর্শনীতে একটি সিইও কনক্লেভ আয়োজিত হয়, এই উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন সভায় সভাপতিত্ব করেন মাননীয় রাসায়নিক ও সার তথা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ; শ্রী মনসুখ ভাই মাণ্ডব্য। ৯০ টির বেশি সংস্থার শীর্ষাধিকারী ও সিইওগণ এতে অংশ নেন এবং ভারতীয় প্লাস্টিক শিল্প কীভাবে তার সম্ভাবনার শিখরে উঠতে পারে সেবিষয়ে মতামত দেন। এব্যাপারে সহমত পোষণ করা হয় যাতে শিল্পসংস্থা এবং নীতিনির্ধারকবর্গ একসাথে কাজ করতে পারেন, নির্ধারিত নীতি যেন বাধা হয়ে না দাঁড়িয়ে উৎসাহজনক ও সহায়ক হয়ে ওঠে। ভারতকে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক উৎসেতে পরিণত করার কাজে ভারতীয় প্লাস্টিক শিল্পোদ্যোগ গুলিকে সুদক্ষ পরিবেশ দিতে নীতিতে সংশোধন করা হবে বলেও নীতিনির্ধারকদের তরফে আশ্বস্ত করা হয়। এই সম্মেলনে, কেন্দ্রীয় সরকারের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের রাসায়নিক দপ্তরের যুগ্মসচিব শ্রী অরুণ বরোকাও উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রদর্শনী চলাকালীন, প্লেক্সকনসিল -এর সহায়তায় আরবিএসএম সভাও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতকে নিজ প্রয়োজনীয় কাঁচামালের উৎস দেশ হিসেবে আগ্রহী বিভিন্ন দেশের ৩০০র বেশি ক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। আরবিএসএম ভারত থেকে উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী /যন্ত্রাদি এবং ছাঁচ ( মোল্ড) কিনতে আগ্রহী সম্ভাব্য বিদেশি ক্রেতাদের সফলভাবে একত্রিত করতে সমর্থ হয়েছিল।
এই সফল প্রদর্শনী বিষয়ে শ্রী জিগিশ দোশি, প্রেসিডেন্ট – প্লাস্টিন্ডিয়া ফাউন্ডেশন বললেন,” আমি ভীষণ খুশি, প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩, আজকের তারিখে সবচেয়ে বৃহত্তম প্লাস্টইন্ডিয়া, দুর্দান্ত সফল হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির পুরো রেঞ্জ, মানে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি থেকে উৎপাদন, সবকিছু নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যাবসাভিত্তিক প্রদর্শনী ছিল, যা প্রদর্শক ও দর্শক উভয়ের কাছেই লাভজনক প্রতিপন্ন হয়েছে। দুনিয়া এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে সঠিক নীতির সমর্থনে, আমরা শীঘ্রই প্লাস্টিকের আন্তর্জাতিক উৎসে পরিণত হতে পারব।”
প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩- এর, ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান , শ্রী অজয় শা বললেন,”প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩এর ফলাফল দারুণ আশাপ্রদ। যে উদ্ভাবন এবং প্রকৌশল প্রদর্শিত হয়েছে তা ভবিষ্যতের দিশারী হয়ে উঠবে। শিল্পের উজ্জ্বলতম মননগুলিকে একত্রিত করতে পেরেছে প্লাস্টইন্ডিয়া ২০২৩, এই সুযোগে তৈরি হয়েছে নেটওয়ার্ক, ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আরও ভাবনার, কাজের ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার আর নগর পরিষদগুলোর সঙ্গে বহু উদ্যোগের পরিচয় ও সম্পর্কস্থাপনের স্থানও হয়ে উঠেছিল এটি।”
১৯৯০ সালে সূচনা হয়, তারপর থেকে প্লাস্টইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ছত্রছায়ায় আয়োজিড প্লাস্টইন্ডিয়া সিরিজের প্রদর্শনীগুলি শিল্পোদ্যোগীরা ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে চলেছেন এবং তাঁদের কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক স্তরেই এটি স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। লগ্নিকারী এবং শিল্পপতিদের কাছে এটি সফল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এক অবশ্যম্ভাবী প্রসার সুযোগে পরিণত হতে পেরেছে।ভারত সরকারের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের রাসায়নিক ও পেট্রোকেমিক্যাল দপ্তরের সহায়তায় এই প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে।