নিজস্ব প্রতিনিধি –
পাখির চোখ প্রো কবাডি লিগ খেতাব জয়। আর সেই লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রো কবাডি লিগে কলকাতার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়রস। খেতাব জয় লক্ষ্যে নতুন কোচদের নামও তারা ঘোষণা করে দিয়েছেন। আসন্ন মরশুমে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এর প্রধান কোচ এবং সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করবেন প্রশান্ত সুরভে ও প্রবীণ যাদব। দলের গত বছরের প্রধান কোচ কে ভাস্করনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিদায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
প্রশান্ত সুরভে কলকাতার এই দলটির সঙ্গে নবম সংস্করণ থেকেই সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছেন। এবার পদোন্নতি হয়ে প্রধান কোচের আসনে বসার পর একটি শক্তপোক্ত দল তৈরি করাই লক্ষ তার। যারা কবাডির ম্যাটে প্রতিটি দলকে করা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। সরকারি কোচ ও প্রাক্তন খেলোয়াড় প্রবীণ যাদব এবারই প্রথম প্রো কবাডি লিগে প্রশিক্ষক হিসাবে অভিষিক্ত হচ্ছেন। এই দুই কোচেরই স্বপ্ন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দলকে খেতাব জিতিয়ে আনা।
কলকাতার এই দলটি ২০১৯ সালে খেতাব জিতেছিল। যা ছিল প্রতিযোগিতার সপ্তম সংস্করণ। এছাড়াও গত এক দশকে চারবার প্লে-অফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে কলকাতার এই দলটি। গত সংস্করণে সপ্তম হওয়ায় অল্পের জন্য প্লে অফ এর যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। যদিও ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত তীব্র লড়াই করে প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল তারা। দশম সংস্করণে দীর্ঘ চার বছর পর ঘরের স্টেডিয়াম কলকাতাতে খেলেছিল শহরের দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। এবার একাদশ সংস্করণে নতুন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নিয়ে ভাল ফল করার ব্যাপারে একাগ্র কলকাতার দলটি। তাই নিলামের জন্য প্রতীক্ষায় রয়েছেন দলের কর্তারা।
“আমি খুশি যে কাপ্রি স্পোর্টস এর মালিকানাধীন বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ফ্র্যাঞ্চাইজি আমার ওপর আস্থা রেখে প্রধান কোচের দায়িত্ব অর্পণ করায়। দলকে সেরা পারফরমেন্স উপহার দেওয়ার জন্য আমরা দায়বদ্ধ। তা নিলামেই হোক কিংবা প্রতিযোগিতার ম্যাটে। আমাদের লক্ষ্য একটাই । তা হল বাংলার মানুষকে গর্বিত করা। দীর্ঘ চার বছর পরে যখন আমরা গত সংস্করণে কলকাতায় ঘরের স্টেডিয়াম নেতাজি ইনডোরে খেলেছিলাম তখন ভক্তদের অকুন্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছিলাম। এবার আমাদের শপথ, সেই দর্শকদের জন্য ভালো খেলা এবং খেতাব জয় করা।” বলছেন দলের প্রধান কোচ প্রশান্ত সুরভে।
“বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স পরিবার একাদশ সংস্করণে ভালো ফল করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। নতুন কোচদের নিয়োগের পর প্রতিযোগিতার ম্যাটে ভাল ফল করতে বদ্ধপরিকর আমরা। প্রশান্ত আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার নবম সংস্করণ থেকেই রয়েছেন এবং তিনি একজন অভিজ্ঞ কোচ। এবং সহকারি কোচ প্রবীণের কবাডির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জ্ঞান অপরিসীম। কাপরি স্পোর্টসের তরফে আমাদের বিশ্বাস ওরা দুজন টিমকে ঠিক লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” বলছেন অপূর্ব গুপ্তা, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান কন্ট্যাক্ট স্পোর্টস, ক্যাপরি স্পোর্টস।
“একাদশ সংস্করণ বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এবং কাপরি স্পোর্টসের তরফে দুর্দান্ত হতে চলেছে বলে মনে করছি আমরা। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু উত্থান পতন এসেছে যা ফ্র্যাঞ্চাইজি স্পোর্টসের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক। যাই হোক একাদশ সংস্করণে আমরা বিপক্ষ দলগুলিকে দুর্দান্ত লড়াই দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। দলের সমর্থকদের কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখতে চাই না আমরা। দলে নতুন কোচ এলে পুরো দলটাই নতুন ভাবে উদ্দীপিত হয় এবং আমরাও আশাবাদী আসন্ন মরসুমে এই নতুন ভাবে সাজানো দলকে সামনে রেখে দুর্দান্ত খেলবে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।” বলছেন জিনিসা শর্মা, ডিরেক্টর, কাপরি স্পোর্টস।