নিজস্ব প্রতিনিধি –
পিয়ারলেস ইন হোটেল এখন নতুন সাজে নতুন রূপে উপস্থিত করছেন। সেই উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হোটেল সংস্থার সি ই ও কুলদীপ ভারতী ও দুই আধিকারিক সুপ্রিয় সিনহা এবং দেবশ্রী রায় সরকার।

হোটেল সংস্থার পক্ষে সি ই ও কুলদীপ ভারতী বলেন , শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হোটেলের মোট ঘর ১৬৮ টি। তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ৩২ টি ঘরকে নতুন রুচি সম্পন্ন অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সামনে আসছে বড়দিন উৎসব এবং নতুন বছর। হোটেল সংলগ্ন ডাইনিং প্লেসে সান্ধ্যকালীন পান ভোজনের ব্যবস্থা আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। ৯০ বছরের ঐতিহ্যের সংস্থা পিয়ারলেস জেনারেল ফাইন্যান্স ইন্ডিয়া সংস্থা। ত্রিশ বছর আগে সহযোগী সংস্থা পিয়ারলেস হোটেলস গড়ে ওঠে। কলকাতা ছাড়াও হায়দ্রাবাদ , পোর্ট ব্লেয়ার ও রাজ্যের দুর্গাপুর ও মুকটমণিপুরে রয়েছে পিয়ারলেস সংস্থার হোটেল। চারতারা বিশিষ্ট হোটেলের সর্বোচ্চ উন্নত পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়েছে।
ভোজনরসিক বাঙ্গালির অন্যতম পছন্দের রেস্তোরাঁ আহেলি এই হোটেলেরই অঙ্গ। বাঙালি ঘরানার খাদ্যের স্বাদ নিতে বিদেশ থেকেও বাঙালি বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে নিয়মিত আসেন প্রবাসী বাঙালি। সম্প্রতি কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলেও এই আহেলি রেস্তোরাঁর শাখা খোলা হয়েছে জনপ্রিয়তার নিরিখে। পিয়ারলেস ইন হোটেলের নব্য সংস্কারের কাজ আগামী দুবছর চলবে বলে জানানো হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোটেলের আধিকারিকেরা জানান,জনপ্রিয়তার নিরিখে হায়দ্রাবাদের হোটেল বছরভর প্রায় ৯৯ শতাংশ সংরক্ষিত থাকে। কলকাতাও পিছিয়ে নেই। বাঙালি ভ্রমণপিয়াসী।তাই দুর্গাপুরের পাশাপাশি সংস্থার মুকুটমণিপুরের রিসোর্টের চাহিদা বাড়ছে। এই মুহুর্তে নতুন কোনো হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা না থাকলেও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের বিপণন বিভাগ যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিবেশী দেশ বা বিদেশ থেকে আসা ট্যুরিস্টদের কলকাতার সংস্কৃতিসমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।অন্যতম আধিকারিক দেবশ্রী রায় সরকার জানান, আজকাল মেয়েরা ব্যক্তিগত ভাবে বা দলবদ্ধ ভাবে বেড়ানো বা কাজের জন্য কলকাতায় আসেন। পিয়ারলেস ইন মহিলা গ্রাহকদের নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারে কঠোর নজর দেন। আগামী নতুন বছরে গ্রাহকবন্ধুদের মনোরঞ্জনে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান ও খাদ্যের বৈচিত্র্যে গ্রাহকদের দাবি পূরণ করা হবে।