নিজস্ব প্রতিনিধি –
আরজিকর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনা পরবর্তীতে পুলিশের একাংশ হামলার শিকার হচ্ছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ।
“বাড়িতে আগুন লাগলেও আমরা আছি।আবার এলাকায় বন্যা হলেও আছি আমরা। সর্বদা আপদে বিপদে আমাদেরই পাশে পাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজের ফাঁদে
পড়বেন না।সততা যাচাই করুন”। হ্যাঁ, পুলিশ দিবস পালনে জানালেন মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। আরজিকর কান্ড পরবর্তীতে যেভাবে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পুলিশ কে সরাসরি আঘাত হানছে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। তাতে পুলিশের সার্বিক জনহিতকর ভূমিকা বিপন্ন হয়ে উঠছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুলিশ শুধুমাত্র দুষ্কৃতীদের হাত থেকে সমাজকে
বাঁচানোর কাজ করেই থেমে থাকে না । সমাজ গঠন থেকে শুরু করে সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে পুলিশ দিবসের আয়োজনে সন্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে নজর কাড়লো মঙ্গলকোট থানা । মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষের পরিকল্পনায় দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটকের মাধ্যমে সংস্কৃতিপুর্ণ্য চেতনার মধ্য দিয়ে পুলিশি দিবস অনুষ্ঠানটি সাফল্য মন্ডিত পায় । এই অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন কাটোয়া এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি। থানার অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজের সফলতা বিচার করে তাদের হাতে স্মারক তুলে দিলেন কাটোয়া এসডিপিও ও মঙ্গলকোট
আইসি ।ক্ষুদেদের কে উৎসাহিত করার জন্য স্মারক তুলে দেওয়া হয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশের তরফে। মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ বলেন, -”সামাজিক ব্যাধি, সামাজিক ভাবেই নির্মূল করতে হবে । সামাজিক মাধ্যমের মিথ্যা প্ররোচনা হাত থেকে বাঁচুন, সঠিকটা বেছে নিন । পুলিশের চাকরি আপনাদের জন্য । আপনারা সকলে যাতে সুস্থ থাকতে পারেন, শান্তি-শৃঙ্খলা ভাবে বসবাস করতে পারেন সেই দায়িত্ব পালনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ । আইন ব্যবস্থা পালনের পাশাপাশি আপনাদের ভালোর জন্য দু’হাত প্রসারিত করে পাশে আছি” । জানা গেছে, সম্প্রতি মঙ্গলকোট থানার পুলিশ এমএসডিপি ব্লক মঙ্গলকোটে পবিত্র ঈদের আগে দুশো পথভিক্ষুকদের নুতন জামাকাপড় বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল । এর পাশাপাশি তীব্র দহনের সময় বাসযাত্রী সহ যান চালকদের জলছত্রের আয়োজন করে থাকে ।সর্বপরি থানা এলাকায় সার্বিক ক্রীড়া বিকাশে থানা সংলগ্ন এক স্কুল মাঠে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালায় স্থানীয় থানার পুলিশ ।এছাড়া চাণক অঞ্চলে আদিবাসী ক্ষুদেদের জন্য অবৈতনিক স্কুলের পঠনপাঠনের জন্য তদারকি করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।