গোপাল দেবনাথ –
সারা বিশ্বজুড়ে হিন্দু পরিবারে পালিত হচ্ছে অন্নকূট উৎসব। এই উৎসবটি কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ থিতিতে উদযাপন করা হয়। অন্নকূট মহোৎসব হলো পুষ্টিমার্গ সম্প্রদায়ের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ভগবান ইন্দ্রের প্রতিহিংসা মূলক বৃষ্টির বিরুদ্ধে ব্রজবাসীদের রক্ষা করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বত তুলে ব্রজবাসীদের প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। দীপাবলির ঠিক চতুর্থদিনে এই উৎসব পালন করার রীতি আছে। ভগবতী অন্নপূর্ণা কে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গোবর্ধন পূজার প্রচলন হয় আর সেই পুজোই অন্নকূট উৎসব নামে পরিচিত। অন্নকূট উৎসবে ৫৬ রকম পদের ভোগ দেওয়ার রীতি আছে। এমনই এক অন্নকূট উৎসবের আয়োজন করেছিলেন কলকাতা পৌরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা জীবন সাহা। বাইপাস লাগোয়া মেট্রোপলিটনে নিজেদের বাড়িতেই আয়োজন করেছিলেন শুভ অন্নকূট উৎসব। জীবন বাবুর বাড়িতে এই উৎসব প্রায় ৬০ বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে। সাহা পরিবার বরাবর রাধা কৃষ্ণের পরম ভক্ত। এদিনের পুরো মণ্ডপটি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাদেবীর ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। পুজোর মণ্ডপটি যথেষ্ট নজরকাড়া হয়েছিল। রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের ছবি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজিয়ে পূজাঅর্চনা করা হয়। প্রথমে ঈশ্বরের সামনে আরতি করার পর কমপক্ষে ৬০টির বেশি সুস্বাদু পদ দিয়ে ভক্তগণ দুপুরের আহার সারলেন। এদিনের অন্নকূট উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, বিধায়িকা নয়না বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, শ্রেয়া পান্ডে, রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, পৌরপিতা অনিন্দ্য কিশোর রাউৎ, শ্রেয়া পান্ডে, পৌরমাতা অলকানন্দা দাস, অলোক দাস, সমীর চক্রবর্তী, অয়ন চক্রবর্তী, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, সুরকার কল্যাণ সেন বরাট, রকেট মন্ডল সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজন।