পারিজাত মোল্লা –
বিধান শিশু উদ্যানে মহাসমারোহে পালিত হলো সরস্বতী পুজো। পুজোর অঞ্জলি থেকে খিচুড়ি ভোগ, হাজারের বেশি ব্যক্তিদের মিলনস্থল হয়ে উঠলো বিধান শিশু উদ্যান।মূলত সপরিবারে এসেছিলেন অনেকেই।বিধান শিশু উদ্যানে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র – ছাত্রীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক – অভিভাবিকারা অংশগ্রহণ করেন এখানে।ধর্ম – ভাষার কোন ভেদাভেদ নেই এখানে। বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদারের নেতৃত্বে এখানকার পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।শিক্ষা – ক্রীড়া – ক্ষুদেদের মনোরঞ্জনে আধুনিকতার পাশাপাশি মেঠো ভাবনার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে রয়েছে প্রতিটি আঙিনায়। বিধান শিশু উদ্যানের পরিচালনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেকেরই অভিব্যক্তি আগতদের বরণ করতে সদাসক্রিয়। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় স্মরণে তাঁরই ডানহাত অতুল্য ঘোষ গড়ে গেছেন বিধান শিশু উদ্যান থেকে বিধান শিশু হাসপাতাল। যা আজও খাঁটি বাঙালিয়ানার পথে শৈশবকাল কে উন্নতর পথে নিয়ে যাচ্ছে বিধান শিশু উদ্যান। ১ লা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ সালে বিধান শিশু উদ্যানের পথচলা শুরু হয়েছিল। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মাননীয় রাষ্ট্রপতি ড.ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ। কয়েক দশক ধরে সর্বভারতীয় রাজনীতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে সরে এসে বিধান শিশু উদ্যান তৈরী করেছিলেন যিনি, তিনি অতুল্য ঘোষ। অনন্য সাধারণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন অতুল্য ঘোষ। অসুস্থ বাচ্চাদের জন্য ড.বিধান চন্দ্র রায়ের স্মৃতিতে তৈরী করেছিলেন সবরকমের সুবিধা যুক্ত শিশু হাসপাতাল, উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গায় ফুলবাগানের কাছে এই শিশু হাসপাতাল টি অবস্থিত।আর সমস্ত বাচ্চাদের জন্য উল্টোডাঙ্গার হাডকো মোড় সংলগ্ন এলাকায় গড়েছিলেন বিধান শিশু উদ্যান। হাজার হাজার মানুষ যাঁরা বেড়াতে আসেন তাঁদের কাছে বিধান শিশু উদ্যান বিনোদন পার্ক। আবার যেসব শিশুরা রোজ নাচ,গান,আবৃত্তি, অঙ্কন,যোগা, টেবিল টেনিস, সাঁতার, ক্রিকেট, রোলার স্কেটিং, এ্যাথলেটিক্স শিখতে আসে তাদের কাছে বিধান শিশু উদ্যান শিক্ষাঙ্গন। বিধান শিশু উদ্যান তাই শুধু বিনোদন পার্ক নয় বা শুধু শিক্ষাঙ্গন নয়। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে অন্য কিছু একটা বলে জানিয়েছেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার।