নিজস্ব প্রতিনিধি –
ব্যাঙ্কেও যে আপনার কষ্ট করে রাখা টাকা সুরক্ষিত নয়, সেটা পরিষ্কার হয়েছে বহু আগেই। কিন্তু ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় নতুন নতুন ডিজিটাল জালিয়াতির ফিকির তৈরি করছে জালিয়াতরা। যেমন আপনি হয়তো কাজে ব্যস্ত অফিসে। কোনও টাকা তোলেননি, কোনও অনলাইন কেনাকাটা করেননি, ক্লিক করেননি কোনও লিঙ্কে। আপনার জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও নয়! কিন্তু তার পরও আচমকা ভ্যানিশ আপনার টাকা!
তাহলে কী ভাবে গায়েব হচ্ছে আপনার অ্যাকাউন্টের টাকা? আসলে চিরাচরিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে নতুন পদ্ধতিকে হাতিয়ার করছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের আধারের সঙ্গে যুক্ত বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এইপিএস বা ‘আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম’– মানে আধার কার্ড ব্যবহার করেই আপনার জীবনে আঁধার নামিয়ে আনছে প্রতারকের দল।
কোভিডকালের সবচেয়ে বুমিং অনলাইন ইন্ডাস্ট্রি জামতাড়া গ্যাংয়ের সাইবার ক্রাইম! রানিগঞ্জ থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ জামতাড়া। সেখানকার লক্ষ লক্ষ মোবাইল নম্বর ব্লক করা হয়েছিল এক সময়। তবু বন্ধ হয়নি এই গ্যাংয়ের দাপট। গ্যাংয়ের লোকজনের ফাঁদ এখন ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, অনলাইনে খাবার অর্ডারেও। এই এইপিএস স্ক্যামে যোগ নেই তো জামতাড়ার?
সবমিলিয়ে ডিজিটালের গোলকধাঁধায় ঘুম উড়েছে গ্রাহকদের। প্রত্যন্ত এলাকা, যেখানে এটিএম বা ব্যাঙ্কের শাখার সুবিধা নেই, সেখানে বিজনেস করেসপন্ডেন্টদের ওপর নির্ভর করতে হয় গ্রাহকদের। ব্যাঙ্ক মহলেরই মত, টাকা সাফাইয়ে এই সব বিজনেস করেসপন্ডেন্টের যোগসাজশ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অ্যাকাউন্ট খোলার সময় গ্রাহকদের অনেক সময় ফর্মের বিভিন্ন জায়গায় টিক মারতে বলেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মী। অনেক সময় ‘আধার এনাবেলড পেমেন্ট সার্ভিস’-এর প্রয়োজন না থাকলেও সেখানে টিক মেরে দেন গ্রাহক। এখন ব্যাঙ্কের অধিকাংশ কাজ চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করে তাঁদের দিয়ে করানো হচ্ছে। এর ফলে প্রতারণার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাহলে কবে অ্যাকাউন্টে সিঁধ কাটবে জালিয়াতরা, সেই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকবেন, নাকি কী এর প্রতিকার জেনে আরও সচেতন হবেন? মানে ডিজিটালের এই গোলকধাঁধা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়গুলি কী কী?
এমন সব বিষয় নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘ব্যাঙ্কে টাকা, হঠাৎ ফাঁকা!!’ দেখুন ১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০টায়।