নিজস্ব প্রতিনিধি –
বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ১ কোটি ৭৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্ট অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন রোগে ভুগে বিশ্বে যত মানুষের মৃত্যু হয় তার ৩১ শতাংশের জন্য দায়ী হৃদযন্ত্রের রোগ। এছাড়াও আর্থরাইটিস , রক্তাল্পতা, প্রদহ, অনিদ্রা, শারীরিক দুর্বলতা তো আছেই, যার জন্য খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্যে পুষ্টির অভাব অনেকাংশে দায়ী। তাই সুস্থ জীবনধারনের জন্য, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত আবশ্যক। হার্ট এটাকের প্রবনতা কমাতে ও পুষ্টিহীনতা দূর করতে নতুন ফুড সাপ্লিমেন্ট বাজারে নিয়ে এল ইয়ার্ডল্যাবস ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। গত এক বছর ধরেই এই সংস্থার বেশ কয়েকটি ফুড প্রোডাক্ট বাজারে রয়েছে, যেগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, পেটেন্টেড ও হিউম্যান ট্রায়ালের পর নিউট্রাসিউটিক্যাল পণ্য বলে সংস্থার দাবী। কিউই ফলের নির্যাস থেকে প্রস্তুত ইয়ার্ডিফাইন, ইয়ার্ডল্যাবস ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড উৎপাদিত এক অভিনব নতুন ফুড সাপ্লিমেন্ট।
YARDYFINE এর মূল উপাদান KFE -এর আবিষ্কর্তা নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ বিভাগের শিক্ষক তথা নোবেল প্যানেলিস্ট অসীমকুমার দত্তরায়। অসীমবাবুর অন্তত ৪১৫ টি গবেষণাপত্র সর্বজনবিদিত । বহু বিষয়ে পেটেন্ট থাকা এই চিকিৎসাবিজ্ঞানী সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন টম্যাটো ও কিউই ফলের নির্যাসে থাকা বিশেষ উপাদান কীভাবে ব্যবহার করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে সেই তা প্রমাণ করে। তিনি দেখিয়েছেন, কিউই ফলের ওই নির্যাস সংবহনশীল অনুচক্রিকার অতিসক্রিয়তা এবং এক জায়গায় জড়ো হওয়া কমায়। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমানোর পক্ষেও সহায়ক। তাঁর এই গবেষণালব্ধ ফল কাজে লাগিয়ে তাদের নতুন ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরি করেছে ইয়ার্ডল্যাবস ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড।
কলকাতার মহাজাতি সদনে এক অনুষ্ঠানে কিউই ফলের নির্যাস থেকে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধকারী, জীবনদায়ী ও পুষ্টির পরিপূরক, এল-আর্জিনাইন সংবলিত ‘ইয়ার্ডিফাইন’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এর আবিষ্কর্তা অসীম কুমার দত্তরায়। তিনি বলেন, এই ফুড সাপ্লিমেন্ট নিয়ম মেনে ব্যাবহার করলে হার্ট এটাকের প্রবনতা অনেকটাই কমানো যায় এটা পরীক্ষামূলক ভাবে প্রমানিত। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
উল্লেখ্য এই সংস্থার ফুড সাপ্লিমেন্ট ও নিউট্রাসিউটিক্যাল বিভিন্ন পণ্য আগে থেকেই রয়েছে। এগুলিও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ফুড সাপ্লিমেন্ট বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইয়ার্ডল্যাবের দুই বোর্ড ওফ ডাইরেক্টর সায়ন্তন রায়চৌধুরী ও ডক্টর সুবির সরকার জানান, তারা এমন আরও প্রোডাক্ট বাজারে আনতে চান যেগুলিতে পুষ্টিগুণ তো আছেই, পাশাপাশি নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা দূরে রাখতেও সাহায্য করে।