নিজস্ব প্রতিনিধি –
বি এম ক্রিয়েটিভ ভেঞ্চারের তৈরী বিবেক মন্ডলের নতুন ছবি “কেয়ার অফ ফুটপাত*” একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের গল্প। একটি বস্তিতে আকাশ, আকাশের মা এবং তিন্নি নামের একটি ৬ বছরের বাচ্চা মেয়ে থাকতো। তিন্নি হলো আকাশের দাদার মেয়ে। আকাশের দাদা – বৌদি মারা যাওয়ার পর থেকে তিন্নি আকাশের কাছেই থাকে।আকাশ বেকারির কাজ করতো আর আকাশের একটা নেশা ছিল বাইক রেস করা। বাইক রেস করে আকাশ যা টাকা পেত সেই টাকা দিয়ে তার মায়ের চিকিৎসা করাতো। আকাশের পারমিতা বলে একটি মেয়ের সাথে প্রেম থাকে, মেয়েটির নাম পারমিতা। পারমিতার পরিবারে পারমিতা এবং তার বাবা ও পারমিতার সৎ মা ছাড়া আর কেউ ছিলো না।
পারমিতার সৎ মা পারমিতাকে সহ্য করতে পারতো না। পারমিতা মাঝে-সাজে আকাশের বাড়িতে যেতো। এইরকমই একদিন আকাশের বাড়িতে পারমিতা গিয়ে দেখে আকাশের মা মাটিতে পড়ে আছে, আর মুখ দিয়ে ব্লাড বেরোচ্ছে আর পাশে তিন্নি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ বাড়িতে আসে, বাড়িতে এসে তিন্নি এবং তার মাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। হসপিটালে যাওয়ার পরে আকাশকে বলা হয় ৭০ হাজার টাকা ডিপোজিট করার জন্য, না হলে তার মায়ের অপারেশন হবে না। আকাশ ওখান থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় রেসের ময়দানে, কারণ এই রেসটা জিতলে আকাশ ৭৫ হাজার টাকা পাবে। এদিকে রেস আরম্ভ হয় ওদিকে আকাশের মায়ের কাছে হসপিটালে পারমিতা আর তিন্নি থাকে । এদিকে রেস চলতে থাকে আকাশ জিতে যায়।এমন সময় একটি ট্রাক এসে আকাশকে ধাক্কা মারে, আকাশ ওখানে মারা যায় আর ওদিকে হসপিটালে আকাশের মা মারা যায় পরের দিন ওই দুজনার মরদেহ ঘরে আনা হয় ।পারমিতা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং তিন্নি কিছু না বুঝতে পেরে কাকাই, কাকাই বলে ডাকতে থাকে। কিছুক্ষণ পর আকাশ এবং আকাশের মায়ের মরদেহ নিয়ে চলে যায়। এদিকে তিন্নি আর পারমিতা দুজন দুজনকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে। এর কিছুদিন পর পর পারমিতা মারা যায় কারন পারমিতার একটি অসুখ ছিল সেটা পারমিতার বাবা ছাড়া কেউ জানতো না। পারমিতা মারা যাওয়ার পর তিন্নি হয়ে যায় একা। তিনি ঠিক ভাবে খাবার পেত না সে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতো, রাস্তায় কোন মানুষ খাবার দিলে তবে তিন্নি খাবার পায়। এই পুরো গল্পটাকে তুলে ধরে এক সোশ্যাল ওয়ার্কার যার নাম রাহুল। এই রাহুলের তিন্নিকে দেখে খুব মায়া হয়। এরপর রাহুল তিন্নিকে রাহুলের বাড়িতে নিয়ে আসে আর তিন্নি পেয়ে যায় বাঁচার এক নতুন ঠিকানা। আমাদের সকলেরই হয়তো এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
পরিচালনা – বিবেক মন্ডল
চিত্রনাট্য ও সংলাপ – বিজয় রায়
ডিওপি – মানস হালদার
প্রযোজনা – বি .এম ক্রিয়েটিভ ভেনচার ।
ছবিটি খুব শীঘ্রই আসবে
অভিনয়ে রয়েছেন
সৃজিতা মন্ডল,স্বান্তনা বোস,রুপম মন্ডল,বেলা মন্ডল,দীপাশ্রী মন্ডল , সুপ্রসাদ গাঙ্গুলী, শুভম লাহিড়ী আরো অনেকে।
সহযোগী পরিচালক : সোনালী মালি ও আরো অনেকে। ছবিটি দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত তালিকায় রয়েছে।