পারিজাত মোল্লা –
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের কেন্না গ্রামে নজরুল সংঘের উদ্যোগে দুইদিনের নানান ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রথম দিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় দিনে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান করা হয়। ঈদের দিনে বিকেল তিনটা থেকে ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ১) অঙ্গণওয়ারি ছেলেদের – দৌড় প্রতিযোগিতা, আলু দৌড়, ২) অঙ্গণওয়ারি মেয়েদের – দৌড় প্রতিযোগিতা, আলু দৌড় ৩) ক্লাস ওয়ান থেকে টু ছেলেদের – দৌড়, আলু দৌড়, ৪) ক্লাস ওয়ান থেকে টু মেয়েদের – দৌড়, আলু দৌড়, ৫) ক্লাস থ্রী থেকে ফোর
ছেলেদের – আলু দৌড়, বস্তা দৌড়, ৬) ক্লাস থ্রী থেকে ফোর মেয়েদের – আলু দৌড়, বস্তা দৌড়, ৭) ক্লাস ফাইভ থেকে সিক্স ছেলেদের – বস্তা দৌড়, অঙ্ক দৌড়, ৮) ক্লাস ফাইভ থেকে সিক্স মেয়েদের – সূঁচ সুতো দৌড়, চামচ মার্বেল দৌড়, ৯) ক্লাস সেভেন থেকে টেন ছেলেদের – স্লো সাইকেল রেস, উল্টো দিকে দৌড়, ১০) ক্লাস সেভেন থেকে টেন মেয়েদের – সূঁচ সুতো দৌড়, চামচ মার্বেল দৌড়, ১১) সর্বসাধারণ ছেলেদের – মিউজিক্যাল বল, স্লো সাইকেল রেস, হিট উইকেট, কলা গাছে ওঠা, ১২) সর্বসাধারণ মেয়েদের- মিউজিক্যাল চেয়ার, চাল থেকে কাঁকর তোলা, মোমবাতি জ্বালানো ইত্যাদি। সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে। যার মধ্যে ছিল ১) গজল প্রতিযোগিতা সর্ব সাধারণ ছেলে ও মেয়েদের, ২) বাংলা সঙ্গীত পরিবেশন – শিল্পী – অরিন্দম চক্রবর্তী, ৩) বাচ্চাদের নৃত্য পরিবেশন – অংশগ্রহণে কেন্না গ্রামের বাচ্চারা। ৪) ম্যাজিক শো – ম্যাজিক দেখান কলকাতার প্রখ্যাত জাদুকর প্রিন্স সমীর ৫) টকিং ডল (কথা বলা পুতুল) – পরিবেশন করেন শিল্পী শেখ শামিম। ঈদের পরের দিন রবিবারের অনুষ্ঠান সূচিতে ছিল – ১) সকাল ৮ টায় – বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ( দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছেলে মেয়েরা অংশ গ্রহণ করে), ২) শর্ট ফুটবল প্রতিযোগিতা (দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছেলেরা অংশগ্রহণ করতে পারে) ৩) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির – বেলা এগারোটা থেকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন কলকাতার পি জি হাসপাতাল ও বি সি রায় শিশু হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। ৪) হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে ছিল।১) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (অঙ্গণ ওয়ারি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যে কোনও কবিতা) ২) কেন্না গ্রাম সংক্রান্ত কুইজ ৩) কেন্না
নজরুল সংঘের পক্ষ থেকে আমেদ হোসেন স্মারক সম্মান জানানো হয় চিন্তাবিদ অধ্যাপিকা ডঃ মীরাতুন নাহারকে এবং স্মারক সম্মান জানানো হয় সাংবাদিক লুতুব আলী, সেখ সামসুদ্দিন, সেখ আনোয়ার আলী ও নূর আহমেদকে। ‘বাংলার হিন্দু মুসলমানের চিরন্তন সম্পর্ক’ বিষয়ক আলোচনা করেন এই বাংলার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ অধ্যাপিকা ডঃ মীরাতুন নাহার। ৪) জাগলিং প্রদর্শন করবেন জাগলার ভবেশ। ৫) নৃত্য পরিবেশন করে কেন্না গ্রামের ক্ষুদে শিল্পীরা। ৬) চার্লি চ্যাপলিন শো। পরিবেশনায় কলকাতার কৌতুক শিল্পী। ৭) জেসমিন নাহার ও মহম্মদ ইউনুস রচিত দুইটি কবিতার বই প্রকাশ করা হয়। ৮) পুরস্কার বিতরণ করা হয় অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে। সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল সংঘের সামিম রহমান, আবুল হাসান মণ্ডল, রফিকউদ্দিন মণ্ডল সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।