নিজস্ব প্রতিনিধি –
আজকের দিনে ফাস্ট ফুডের যেমন রমরমা ঠিক তেমনই শরীর কে ফিট রাখার জন্য ব্যাঙের ছাতার মতো সর্বত্র গজিয়েছে জিম। জীবনে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে গেলে শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। মোবাইল ফোন কে একটু দূরে রেখে নিজের শরীরের কথা একবার ভাবা উচিৎ। এই সব কথা মাথায় রেখে বলিউড অভিনেতা এবং স্পোর্টস পার্সন অশোকরাজ মুম্বাই কে বিদায় জানিয়ে এই বাংলার ছেলে মেয়েদের শরীরচর্চার কথা মাথায় রেখে শুরু করলেন অশোক আখড়া এক ব্যাম মন্দির। এই নামের মধ্যে আছে ১০০% শুদ্ধতা। এই সংস্থার উদ্যোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার লেকটাউন মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত হয়েছিল শের ই হিন্দুস্থান এবং হিন্দুস্থান শ্রী। সহযোগিতায় ছিল আর্ম ফাইটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। এদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল রিস্ট ফাইটিং। এর আগে এই দেশে এই খেলা কখনও আয়োজিত হয়নি বলে জানালেন উদ্যোক্তা অশোকরাজ। অন্যান্যদের মধ্যে ছিল আর্মস ফাইটিং, বডি বিল্ডিং, মেনস ফিজিক ও
ডেনিম ফিজিক। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে ছোট বড় পুরুষ মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। মোট ৮টি গ্রূপে ভাগ করা হয়েছিল প্রতিযোগীদের। যাদের বয়স ১২-১৪-১৬ বছরের নিচে। এ ছাড়াও যে সকল প্রতিযোগীদের ৫০-৬০-৭০ কেজি ওজনের নীচে। ৮০ কেজি র বেশি ওজনের ক্যাটাগরিতে যে যার ইচ্ছে অনুযায়ী যোগদান করতে পেরে ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে উত্তরীয় এবং সুদৃশ্য ট্রফি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো গোপাল দেবনাথ, বিমল চন্দ, পার্থ চন্দ, নন্দন দেবনাথ এবং দেব নারায়ণ গাঙ্গুলি কে। বিচারক মন্ডলীর বিচারে এদিন ‘শের ই হিন্দুস্থান’ খেতাব জিতে নেন দেবকুমার কুন্ডু এবং শুভজিৎ সিকদার। ‘হিন্দুস্থান শ্রী’ খেতাব জিতে নেন তনভির সরকার, চন্দন হাজরা, সীতারাম হেমব্রম, দীপঙ্কর সরদার এবং সুপ্রিয় ঘোষ। অন্যান্য রাজ্য সহ নানা প্রান্তের প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হাজির হয়েছিলেন। বহু উৎসাহি মানুষ সারাদিন ব্যাপী প্রতিযোগিতা দেখার জন্য হাজির হয়েছিলেন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে। বিচারক মন্ডলীর অভিজ্ঞ চোখ সেরাদের বাছাই করে পুরস্কৃত করে সম্মানিত করেন। অফিসিয়াল টিমের অনির্বান নন্দী, রাজীব ব্যানার্জী, কিশোর দাস, আমিশারাজ, অমররাজ এবং সুরজ জয়সোয়াল এর কাজ নজরকাড়ে। অনুষ্ঠান শেষে অশোকরাজ বলেন সকল প্রতিযোগী এবং বিচারক মন্ডলীর সহায়তায় এত বড় মাপের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভবপর হলো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অশোকরাজ বলেন সবকিছু ঠিক থাকলে হয়ত ২০২৫ এর জানুয়ারিতে একটি সর্বভারতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে আমাদের সংস্থা অশোক আখড়া এক ব্যায়াম মন্দির।