নিজস্ব প্রতিনিধি –
উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হচ্ছে সারা বিশ্বে। খাদ্য অপচয় রুখতে তাই কলকাতায় শুরু হল নতুন চেতনা আন্দোলন। চাল উৎপাদন সংস্থা রাইস ভিলার হাত ধরে এই আন্দোলনের সূচনা। বিশ্বজুড়ে খাদ্য অপচয় বন্ধ করার বার্তা তুলে ধরতে নেওয়া হলো কর্মসূচি। বিশ্বে ক্রমাগত খাবারের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাবার অপচয়ের পরিমানও। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর হিসাব অনুযায়ী, এর পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ কোটি কেজি। এই নষ্ট খাবারের পরিমাণ বিশ্বে মোট
উৎপাদিত খাদ্যের এক তৃতীয়াংশ। যা দিয়ে প্রতিবছর পেট ভরে খাওয়ানো সম্ভব প্রায় ২০০ কোটি মানুষকে।
উৎপাদিত খাদ্যের এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হচ্ছে বিশ্বে
পৃথিবীতে প্রতি তিন জন অপুষ্ট শিশুর একজন ভারতের
শতকরা প্রায় ১৯ কোটি ৫৯ লক্ষ মানুষ অপুষ্টির শিকার
উৎপাদিত খাদ্যের শতকরা ৪০ ভাগই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
অপচয় হওয়া খাদ্যের পরিমাণ প্রায় ৬.৭ কোটি টন
সচেতনতার সময় এসেছে। এখন থেকে মানুষ সতর্ক ও সচেতন না হলে এক চরম বিপদ সীমার মুখোমুখি হতে হবে দেশকে। আর সে কথা মাথায় রেখে খাদ্য অপচয় রুখতে এক নতুন আন্দোলনের সূচনা করল ভারতের একটি চাল উৎপাদন সংস্থা। কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় রাইস ভিলা উৎসব। এই উৎসব থেকে দেশজুড়ে খাদ্য অপচয় বন্ধের বার্তা দেওয়া হয়। সংস্থার সিইও সুরজ আগরওয়াল বলেন, প্রতিদিন ভারতবর্ষে যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয় তা ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য বিহারের খাদ্য সংস্থান করে
দিতে পারে। নবম বর্ষের অনুষ্ঠানে রাইসভিলার আহ্বান ‘বন্ধ করো খাদ্য অপচয়। প্রত্যেকটি মানুষের মুখে পৌঁছে দাও খাদ্য।’ দুর্গা পুজো এবং কালীপুজোর শেষে মা জগদ্ধাত্রী পুজো চলাকালীন সুন্দর আলোক সজ্জা এবং ঢাকের আওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হল এক ঝাঁক মনুষ্য হৃদয়। রাইস ভিলা উৎসবের মূল মন্ত্র ছিল ‘মা’ -পৃথিবী ডাকছে। খাবার অপচয় করবেন না। আসুন একত্রে উদযাপন করি সুস্বাদু ভাতের খাবার। সুরক্ষিত করি আমাদের পরিবেশকে এবং সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতিকে।